মোবাইল স্ক্রিনিং বা গেজেট আসক্তিতে বাচ্চাদের কিভাবে সামলাবেন?

গেজেট আসক্তি

আমাদের আজকের বিষয় শিশুকে মোবাইল স্ক্রিনিং বা গেজেট আসক্তিতে বাচ্চাদের কিভাবে সামলাবেন?
আপনার শিশু কে ৫-৬ মাস বয়স থেকেই যদি মজার ছলে মোবাইল দিচ্ছেন, তবে শুনুন আপনি ভুল করছেন।
ও খেলার বয়স (৫-১২মাস) হলেই খেলনা দিতে পারেন। ব্যস্ত করতে শিখুন ওকে। শিশুর স্মার্টফোনে আসক্তি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ওর বোরিং লাগলে ও আপনাকে বিরক্ত করবে।।
১ বছর হয়ে গেলে বই দিতে পারেন যেগুলো তে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংগ, শিশুর ছবি, পাখি,ফুল, ফল রয়েছে।
অনেক খেলনায় আছে যেমন অক্ষর সমৃদ্ধ বোর্ড, ফুল পাখির ছবি আকাঁ বোর্ড বা ঘরের ব্যবহার্য বাটি, চামচ দিয়েও ব্যস্ত রাখতে পারেন। সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন ।  গাছ লাগানো, কবুতর পোষা, পাখিকে খাবার দেয়া, কাগজ কেটে এটা-সেটা বানানো ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত রাখার চেস্টা কঅরতে হবে।

সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজই হলো ওকে ব্যস্ত রাখা ফলপ্রসূ খেলায়।
বিভিন্ন শেপ এর ব্লক, ডো দিতে পারেন।
বাচ্চারা পানি পছন্দ করে। সব ব্যপারে না বলে হালকা গরম পানিতে ওর পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
ওর সাথে চাইলে আপনি ও ভিজিয়ে রাখতে পারেন। আপনার ও প্যাডিকিয়র হয়ে গেল?।।।

শিশু বা টডলার সহজেই মোবাইল, গেমস, টিভির প্রতি আসক্ত হতে শুরু করে।

 

খাবারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্পগুজব করাটা উঠতি বয়সের সন্তানদের জন্য খুব ভালো হয়।
তাই শিশুর সামনে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না । আর বাচ্চাকে খাওয়াতে অনেক সময়  অভিভাবক মোবাইল ব্যবহার করেন। কিন্তু খাওয়ানর সময় অন্য কিছু দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করবেন। তার মনোযোগ অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টা করবেন।
তারপরেও যদি না খায় তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মোবাইল দিতে পারেন।

বর্তমানে অ্যান্ড্রোয়েড টিভির যুগ।।
আপনার চাইলে বাচ্চাকে টিভিতে ইউটিউব এ শিক্ষনীয় ছড়া, বাংলা, ইংরেজি অক্ষর পরিচয় এর কার্টুন গুলো ছেড়ে দিতে পারেন কিছু সময়ের জন্য।
বাচ্চার শিখা ও হল, বিনোদন ও হল। । স্মার্টফোন দেখার সময় বেঁধে দিন। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যাবে না- এমন নিয়ম চালু করুন।

শিশুকে ঘরের বাইরে পাঠান, বাইরে খেলতে পাঠান।  চেস্টা করবেন বাইরে ঘুরাতে নিয়ে যেতে।
কেএফসি,পিজ্জা হাটে ঘন ঘন না নিয়ে সবুজ এর কাছাকাছি যেমন আপনার এলাকার খেলার মাঠ, শিশু পার্ক, সংসদ ভবন, লালবাগ কেল্লা, ধানমণ্ডি লেক এইরকম জায়গায় বল নিয়ে যাবেন, বাচ্চা মানুষের সাথে মিশা ও শিখবে, আবার আনন্দিত হবে।

ইনডোর প্লে গ্রাউন্ডগুলোতে নিয়ে যেতে পারেন।।
আর ২ বছর এর বেশি বাচ্চাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ এ আনার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে একটু কঠোর হন। দেখবেন ধীরে ধীরে তার এই আসক্তি কেটে গিয়েছে।মোবাইল না দেখা  বা গেজেট থেকে দূরে থাকতে ওকে উৎসাহ দিবেন। অভিভাবক দের ঘুমানোর আগে বা বিছানায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অভ্যাস পরিত্যাগ করা উচিত।
সবচেয়ে বড় কথা প্রযুক্তির যুগে চাইলেই বাচ্চাকে দূরে রাখা যায় না, তারপরও আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে আমাদের ভালোর জন্য, বাচ্চার ভালোর জন্য।

আপনারা সর্বাধিক চেষ্টা করবেন বাচ্চা গুলোকে গেজেট আসক্তি থেকে দূরে রাখতে।

আরও পড়ুন:
শিশুরা কেন সব কিছু মুখে দেয় ? সতর্কতা ও করনীয়
আবহাওয়া অনুযায়ী শিশুর পোশাক

সম্পর্কিতপোস্ট

সম্পর্কিত পোস্ট

মন্তব্য করুন বা প্রশ্ন করুন ?

অনুসরণ করুন

error: Content is protected !!