সন্তানের সঙ্গে পিতামাতার সম্পর্ক হওয়া উচিত বন্ধুত্বপূর্র্ণ। আপনার শিশু যদি কোনো অন্যায় করে ফেলে তাহলে তাকে শাসন না করেবিভিন্ন কৌশলগুলি অবলম্বন করুন। অন্য শিশুর সঙ্গে সন্তানের তুলনা করা উচিত নয় বিভিন্ন কারণে।সন্তানকে শাসন করছেন? তাহলে আপনাকে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে:
অন্য শিশুর সঙ্গে সন্তানের তুলনা করা উচিত নয় যে কারণে:
- শিশু আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারে
- অন্য শিশুর ঈর্ষা তৈরি হতে পারে।
- বাবা-মার প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- শিশুদের কোমল মনে দুশ্চিন্তা ও ভয় তৈরি হয় খুব সহজেই।
- আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিরও ভূমিকা থাকে।

সন্তান অন্যায় করলে আপনি সব কিছুতে সাথে সাথে শাস্তি দিচ্ছেন এটি কিন্তু উচিত নয়। এটি রাগের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। সাময়িক রাগের খারাপ দীর্র্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে । তাই আপনার উচিত সন্তানকে শাস্তির বদলে সংশোধন করা। এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি ভালো শিক্ষা হতে পারে। আবার বার বার শাসনের ফলে , কোনও বিষয়ে দুঃখ পেলে শিশুরা উল্টো উত্তর দেয়। তার অভদ্র আচরণ আপনাকেও বিরক্ত করতে পারে। বাচ্চারা জেদ থেকে কিংবা ভীত পরিবেশে আচরন করে। অভিভাবক হিসেবে এমন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকুন এবং শিশুর সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলুন।
অধিকাংশ মনোবিজ্ঞানীদের রিসার্চ থেকে জানা যায়- ৪০% শিশুদের কোমল মনে তৈরি হওয়া রাগ খুবই পরবর্তীতে উগ্রতা জেদ বদ মেজাজ ও অবাধ্য আচরণের কারণ হয়ে ওঠে। তাৎক্ষনিক শারীরিক শাস্তির বা ভয়ের ফলে দেখা যায় শিশুটির মাঝে মিথ্যে কথা বলার প্রবনতা দেখা যায়। ফলে পরবর্তীতে ওদের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা বারবার আর পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। এতে শিশুটি ক্লান্ত, খিটখিটে হয়ে উঠে
কি করণীয়
- এমন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকুন এবং শিশুর সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলুন।
- শিশুকে চিৎকার করার চেয়ে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। তাকে বোঝা,নোর চেষ্টা করুন ভালোবেসে আদর দিয়ে বুঝিয়ে বলুন
- আপনার সন্তান কে শাসন করার আগে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। বার বারভি তাকে ট্রেইন করুন। তাকে মনে করিয়ে দিতে থাকুন গ্রহণযোগ্য আচরণ আর কোনটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিশুকে তার ভুলটা বুঝিয়ে বলুন যে সে যা করছে তা আসলে ভুল।
- শিশুরা বাবা-মার কথার প্রতি আস্থা রাখে। তাই তাদের বিশ্বাস করাতে হবে বাবা মা বন্ধু । বাবা-মা যখন বার বার বলেন তার ভুল গুলি নিয়ে তখন সেটি বিরক্তিবোধ করে. তাই সময় নিয়ে বুঝিয়ে বলতে হবে।
- সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে হবে শিশুর মনে.
- নেতিবাচক প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব যেনো প্রভাব ফেলতে না পারে তার ভবিষ্যত জীবনে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
শিশুর সুন্দর ভবিষ্যত এর জন্য তার সঙ্গে আলোচনা করুন এবং তার সমস্যা বুঝে সামাধানের চেষ্টা করুন। অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা না করেও কঠোর শাসন ছাড়া আপনার সন্তানের জীবনে ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করা সম্ভব। সুশাসন এবং ইতিবাচক ভাবনা থেকে সুঅভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব।
লেখা : shaila sultana