শিশুদের বিকাশে খেলাধুলা

শিশুদের বিকাশে খেলাধুলা

 

শিশুর মানসিক বিকাশে খেলাধুলা খুব গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক চিন্তা , বুদ্ধিমত্তা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো খেলাধুলা। শিশুর ব্যক্তিত্বের সঠিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। একটি শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বজায় রাখার অন্যতম মাধ্যম খেলাধুলা।

শিশুদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা:

শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তাগুলো তুলে ধরা হলো :

স্বাস্থ্যগত : 

খেলাধুলা নিয়মিত করলে স্বাস্থ্যগত উন্নতি হয়। খেলাধুলা করলে শিশুদের শরীরচর্চা হয়ে যায়। এতে শরীরের মুভমেন্ট হয়ে থাকে। কিছু শারীরিক কার্যক্রম  হাঁটাহাঁটি, দৌড়াদৌড়ি, দড়িলাফ ইত্যাদি করতে পারলে শরীরের ক্লান্তি, একঘেয়েমি, বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ দূরে সরিয়ে শিশুর  মনকে শান্ত স্থির রাখতে সাহায্য করে। ছোট বয়স থেকে যদি খেলাধুলায় মনোযগী করা যায় তবে ওবিসিটির প্রবণতা, ডায়াবেটিস, পেশীর দুর্র্বলতা থেকে মুক্তি পাবে শিশুরা । খেলাধুলার তালিকায়  বেসিক জ্যাপিং বা রানিং টেকনিক, সাইড মুভমেন্ট ইত্যাদি ছোটবেলা থেকে শেখানো উচিৎ ।

খেলার মাধ্যমে শারীরিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটেখেলা শিশুদের বিকাশে সাহায্য করে:

  • ভাল শারীরিক ফিটনেস
  • মনোবল
  • মুভমেন্ট

মনোযোগ, পরিকল্পনা, সংগঠন ও সিদ্ধান্ত :

শিশুর মানসিক বিকাশে খেলাধুলা অন্যতম বিনোদন।এটি  শিশুদের অভিজ্ঞতা বাড়ায়। খেলাধুলা শিশুর মাঝে পরিকল্পনা করতে শিখায় । কিভাবে সংগঠন তৈরী করা যায়  ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা বিকাশে জোগান দেয়। খেলাধুলার মাধ্যমে কৌতূহলী করে তোলে ও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। 

সৃজনশীলতাঃ

খেলা একটি সৃজনশীল কার্যকলাপ। শিশুরা প্রতিনিয়ত নিজেদের বিনোদনের জন্য নতুন নতুন খেলা আবিষ্কার করে খেলে । খেলাধুলা শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সাহায্য করতে পারে। একটি শিশুর আগ্রহ এবং চাহিদা বয়সের সাথে খেলাধুলার ধরণ পরিবর্তিত হয়।  অভিভাবক এরা খেলাধুলার উপকরণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ও আগ্রহ এর দিকে লক্ষ্য রাখবেন ।

খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিক ও মানসিক দক্ষতা:

খেলাধুলার মাধ্যমে শিশু সামাজিক ও মানসিক দক্ষতা অর্র্জন করে  ।তাদের সাথীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। নিজেকে  আত্মপ্রকাশ  করতে পারে । পরস্পর মেলামেশা, সহযোগিতা, সহমর্মিতার মতো  সামাজিক দক্ষতা আপনার শিশু খেলার মাধ্যমেই অর্জন করবে।

 

খেলাধুলার মাধ্যমে  স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণে আনা যায়:

 

খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুরা স্ক্রিন টাইম থেকে সরে আসে;
কিভাবে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করবে তার জন্য উদগ্রীব থাকে। খেলার সময় দেখা যায় প্রতিটি শিশু যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়। বন্ধুদের সাথে খেলার সময় কোন সমস্যার কী সমাধান করবে তা সে নিজেই বেছে নেয়। ফলে তার বিকাশ ঘটে ভালোভাবে।

কেন খেলা গুরুত্বপূর্ণ:

এককথায় কেন খেলা গুরুত্বপূর্ণ তা সহজেই বলা যায়।
খেলা শিশুদের শারীরিক, সামাজিক এবং মানসিক সুস্থতার উন্নতি করে। এছাড়া ও কি শেখা যায় :

  • সমন্বয়
  • ভারসাম্য
  • আত্মবিশ্বাস
  • আত্মসম্মান
  • সহনশীলতা
  • মিথষ্ক্রিয়া
  • সামাজিক দক্ষতা
  • স্বাধীনতা
  • কৌতূহল
  • চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবেলা

 

তথ্যসূত্রঃ

  1. https://extension.usu.edu/relationships/faq/the-importance-of-playing-with-your-child
  2. https://www.verywellfamily.com/types-of-play
  3. https://hechingerreport.org/want-resilient-and-well-adjusted-kids-let-them-play/

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

টিনেজ মেয়েদের খাদ্যপুষ্টি ও গাইডলাইন

 

সম্পর্কিতপোস্ট

সম্পর্কিত পোস্ট

মন্তব্য করুন বা প্রশ্ন করুন ?

অনুসরণ করুন

error: Content is protected !!