নারীর মানসিক স্বাস্থ্য

নারীর মানসিক স্বাস্থ্য

জ্বি, ঠিকই পড়েছেন। নারীর মানসিক স্বাস্থ্য।
যেখানে শরীর এর খবর নেয়ার কেউ নেই সেখানে মানসিক অবস্থার খবর কেউ নিবে সেটাই ভাবা বিলাসিতা।
নারী খুব শক্তিশালী শব্দ বা মানুষ যার মাঝে লুকিয়ে আছে অনেক সত্তা।।

নারী মায়াবী, নারী মা-কন্যা, স্ত্রী, প্রেমিকা।। নারীর মাঝে আবেগ জন্মগত ভাবেই বেশি বলেই প্রেমিক পুরুষও হেলা করে উত্তর দেয়,
সেটা আমরা বিভিন্ন কবিতা গল্প থেকে দেখি।।

আমার আগে আর কাউকে ভালবাসনি তুমি?
– কেন বাসব না? অনেক।
বিষবৃক্ষের ভ্রমর
যোগাযোগের কুমু
পুতুলনাচের ইতিকথার কুসুম
অপরাজিত-র…..
– ইয়ার্কি করো না। সত্যি কথা বলবে।

ছেলেবেলায় ভালবাসা ছিল
একটা জামরুল গাছের সঙ্গে।
সেই থেকে যখনই কারো দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই
জামরুলের নিরপরাধ স্বচ্ছতা ভরাট হয়ে উঠেছে
গোলাপী আভার সর্বনাশে,
অকাতর ভালবেসে ফেলি তৎক্ষণাৎ
সে যদি পাহাড় হয়, পাহাড়
নদী হয়, নদী
কাকাতুয়া হলে, কাকাতুয়া
নারী হলে, নারী।
               —পূর্ণেন্দু পত্রী

যাই হোক কই চলে গেলাম।
আজ তো আমি নারী নিয়ে লিখব দু-চারটি কথা। নারী  প্রেমিকা, নারী স্ত্রী বা কন্যা  হিসেবে আজও  নিঃগৃহীত অনেক পরিবারে যতই সে কর্মজীবী হোক বা গৃহিনী হোক। আধুনিক  যুগে এসেও নারীর এই পরিনতি? নারীরা মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যস্ত হয়ে থাকে তার   বায়োলজিকালসামাজিক-পারিবারিক কারনে।

  • স্ট্রেস বা মানসিক চাপ,অতিরিক্ত টেনশন,পারিবারিক কলহ,অ্যাবিউজ বা হয়রানি, দারিদ্র্যতা, সংগী দ্বারা অপমান, বডি সেমিং,ডিপ্রেশন এবং আর তো  রয়েছে।
  • রয়েছে প্রেগন্যান্সির সময় অকারণ মন খারাপ হওয়ার জ্বালা এবং পোস্ট পার্ট্রাম ডিপ্রেশন,বেবি ব্লুজ যার সাথে অনেক পরিবারই পরিচিত নয়।কিন্তু কেউ কি বুঝবে?

হয়তো আজ ক্লাসে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না, তবুও জোর করে ক্লাসে যাওয়ার টাইমে কোন কটুকথা মন কে ভেংগে দিল বা সংসার এর চাপে পিস্ট নারী চাইলেও পায় না মনের বিশ্রাম। হয়তো পিরিয়ড এর পূর্ব মুহূর্তটা চলছে,কোন কারন ছাড়াই মনটা ভংগুর।।
কে বুঝবে?
হয়তো কান্না গলায় চেপে আছে, হুট করেই শুনে ফেললেন সারাদিন ঝিমাচ্ছে কাজ নেই নাকি??
আহা!!!
এইকি শোনার অপেক্ষায় ছিলেন বৈকি? কই আপনিই তো ঘরে বাবা আসলে দৌড়ে হাত থেকে বাজারগুলো নিয়ে লেবুর শরবত টা দিন।।আপনিই তো স্বামীর গরুর কালাভুনাটা পছন্দ বলে ঘন্টাব্যাপি আয়োজন করে রাঁধেন। কেউ তো আপনার মলিন চেহারায় তাকায় না।। যদি ভাইটা বলেই বসল কিরে আপু তোকে এমন লাগছে কেন? ঝরঝরিয়ে কেদেঁ বসলেন।। ভাইটা অপ্রস্তুত।
জ্বি আপনি নারী।।।    

রান্না হেঁসেল ঠেলতে ঠেলতে আপনি ৩৪ বছর বয়সী নারী কিন্তু সংসার আপনাকে বানিয়েছে বুড়ি ???কই কেউ তো বলে না  আজ তুমি রেস্ট নাও বা ঘুরে আসো একা একা।। আজ দিনটা সম্পুর্ন তোমার। হয়তো অসুস্থ আপনি,সেবার চেয়ে এইটাই শুনতে হচ্ছে তুমি তো সারাবছর ই অসুস্থ থাকো।।
ধরা যাক কর্মজীবী নারী আপনি। করছেন অর্থ রোজগার কিন্তু কোনদিন যদি দেরি করে বাসায় ফিরেন অনেক কথা শুনতে হয় আবার বাসায় ফিরেও কিন্তু দেখেন আপনার সব কাজ পড়েই আছে।কেউ নেই করার। হয়তো এবার আপনি মেয়ে চরিত্র। আপনার পছন্দের কাজে বা পেশাগত জীবন গড়তে রাজি নয় আপনার বাবা মা।। সবক্ষেত্রেই পিছুটান আর যুদ্ধের মোকাবেলা করে আপনাকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে।    

যদি বার বার ফেইল করা ছাত্র টাও জীবনে সাইন করতে পারে, হতে পারে দারুন ব্যবসায়ী তবে বোর্ড পরিক্ষায় প্লেস করা মেয়েটা আজ চার দেয়ালে বন্দি হয়ে হতাশায় নিশ্বাস ফেলছে। কেন??

সংসার সবই নারীর দায়িত্ব।
হেলায় চলে যাচ্ছে নারীর জীবন। একটু ভালবাসা চায় নারী। উৎসাহ দিয়েই দেখো না নারী কি করতে পারে? নারী অনেক শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। সহানুভূতি নয় চায় পরিচর্যা, একটু ভালবাসা, মাথায় হাত দিয়ে বোঝার মানুষ। নারী তো সবরূপেই সার্থক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, পুরুষের সঙ্গি হিসেবে,পুরুষের সাথে আয় করে আবার ঘরকন্না হিসেবে।। তবে নারীর হোক সুন্দর জীবন।।       

সম্পর্কিতপোস্ট

সম্পর্কিত পোস্ট

মন্তব্য করুন বা প্রশ্ন করুন ?

অনুসরণ করুন

error: Content is protected !!