নতুন মা হয়েছেন বা হবেন,অনেক কিছুই বুঝতে পারছেন না। অনেক তথ্য আছে যা মা শাশুড়ী থেকে পাবেন
আবার অনেক অজানা সমস্যার সম্মুখীন হবেন। এসব এর সমাধান না পেয়ে আপনি হয়ত কস্টই করে যাবেন, ভাববেন এইটাই বুঝি স্বাভাবিক। কেননা আমরা মায়েরা নিজেদের হেলা করতে খুব ভালবাসি। প্রসবের পরে অনেক নতুন মা এর ব্রেস্ট এনগর্জমেন্ট হয়ে থাকে। স্তন্যপান করানো মা বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে নানা জটিলতায় সম্মুখীন হতে পারেন।
আসুন আজ জেনে নেই ব্রেস্ট এনগর্জমেন্টের কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে।
মা হওয়ার পর বুকের দুধ নামার পরবর্তী অবস্থা:
সকল নতুন মা এর এনগর্জমেন্ট নাও হতে পারে। রোগীদের মধ্যে ব্রেস্ট এনগর্জমেন্টের উপসর্গগুলি পরিবর্তিত হয়। কোনও বিশেষ কারণ ছাড়া বা রক্ত ও দুধের অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে ব্রেস্ট এনগর্জমেন্ট হতে পারে। কোন মা একটি স্তনে এনগর্জমেন্ট অনুভব করতে পারে, আবার কেউ কেউ উভয় স্তনেও অনুভব করতে পারে। ব্রেস্ট এনগর্জমেন্টের লক্ষণগুলি বগলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- নতুন মাদের বুকে যখন দুধ নেমে যায়,তখন মা এর দুধ ফুলে যায়।
- স্তন শক্ত হয়ে যায় যা চাক এর সৃষ্টি করে যা বগল পর্যন্ত চলে যায়। এর ফলে স্তনে ব্যাথার সৃষ্টি হয়।
- এটি ডেলিভারির ২-৫ দিন এর মাঝে হয়।এটি ১৫-২০ দিন চলমান হতে পারে। এটি কে দুধ এনগোর্জমেন্ট (Engorgement) বলে।
এটি হওয়ার কারনঃ
- যখন স্তন্যপান করানো মায়েরা বাচ্চাকে খাওয়ানোর দৈনিক সময়সূচী পরিবর্তন করেন, তখন এনগর্জমেন্ট অনুভব করতে পারেন।
- দুধ প্রবাহের নালী যদি বন্ধ হয়ে যায় তখন এনগোর্জমেন্ট হয়।
- মা যদি শিশুকে দুধ পান না করিয়ে থাকেন অথবা একটি দুধ খালি হওয়ার পূর্বে আরেকটি দুধ খাওয়ান তবে এনগোর্জমেন্ট হতে পারে।
- আবার আপনি যদি সিজারিয়ান মা হয়ে থাকেন তবে আপনার শরীর এ স্যালাইন পুশ করা হয় তা থেকে ও এনগোর্জমেন্ট হতে পারে। এই পানি প্রস্রাবের সাথে নির্গমন হয়।তখন দুধ এর চাক পরিমাণ কমতে থাকে।
- কোন মা এর শিশু অসুস্থ হওয়ার কারনে মা যদি দুধ পান না করাতে পারেন তবে আপনার দুধ এনগোর্জমেন্ট হতে পারে।
- মা যদি কখনো ব্রেস্ট এর কোন সার্জারি করিয়ে থাকেন তবে তখনও এনগোর্জমেন্ট হতে পারে।৷
- অথবা উপরের কোন কারন ছাড়াই আপনার এই সমস্যা হতে পারে।।
সেক্ষেত্রে আপনি বিশেষজ্ঞ ডঃ এর পরামর্শ নিবেন।
এনগোর্জমেন্ট এর ফলে কি হতে পারে?
এনগোর্জমেন্ট এর ফলে সবচেয়ে বড় কথা মা এর কস্ট হয়। জ্বর চলে আসতে পারে। দুধ জমে চাক হওয়ার ফলে শিশুর দুধ পানে অসুবিধা হয়। শিশু দুধ পান করতে পারে না। দুধ জমে যাওয়ার জন্য মা এর বুকের দুধ এর নালী ব্লক হয়ে যায়, ব্রেস্ট টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হত্র পারে, পুঁজ এর সৃষ্টি হতে পারে,ফলে ইনফেকশন হতে পারে।। ব্রেস্ট এনগর্জমেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলি হল হালকা জ্বর এবং ক্লান্তি। মা সাধারণত এই হালকা ‘দুধের জ্বর’ নিয়ে বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে পারেন। সম্ভব হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভাল।
প্রতিকারঃ
- মা এর দুধ নামার সাথে সাথে শিশুকে কিছু সময় পর পর দুধ খাওয়াতে হবে।
- যদি অতিরিক্ত দুধ খেতে না পারে তবে কিছু দুধ পাম্প করে ফেলে দিতে পারেন।
- বাচ্চাকে ২-৩ ঘন্টা পর পর দুধ খাওয়নোর অভ্যাস করতে পারেন। যদি বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকে তবে তুলে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
- মা নিজের আরামের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান দুধ কিছু সময় পর পর পাম্প করে ফেলবেন।
- জ্বর আসতে পারে মা এর।এক্ষেত্রে নাপা বা প্যারাসিটামল খেয়ে নিতে পারেন।
★★★ এই দুধ খেলে শিশুর কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কোন স্তনে যদি পুজঁ পড়ে সেক্ষেত্রে খাওয়ানো বন্ধ রেখে ডক্টর এর শরনাপন্ন হবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।